
আচ্ছালামু আলাইকুম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
জ্বিন, জাদু, বদনজর এবং অন্যান্য শারিরীক - মানসিক সমস্যার রুকইয়াহ করা হয়।
আরবি রুকইয়াহ (الرقية) শব্দের অর্থ হলো ঝাড়ফুঁক। ইসলামসম্মত একটি আধ্যাত্মিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক হাদিস দ্বারা এই রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁক প্রমাণিত। রুকইয়াহ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনা মতে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হয়ে যেতো, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ব্যক্তির গায়ে (শরীরে) তাঁর ডান হাত বুলাতেন এবং বলতেন-
أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لا شِفَاءَ إِلا شِفَاؤُكَ ، شِفَاءً لا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আজহিবিল বাসা রাব্বাননাসি; ওয়াশফি আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা; শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বামা।’
অর্থ : হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর করে দিন এবং আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতিত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকি রাখে না কোনো রোগ।’ (বুখারি, মিশকাত
কিভাবে বুঝবেন আপনি জ্বীন/যাদু/কুফুরি/বানে আক্রান্ত?
১. এক গ্লাস পানি নিবেন।
২. যেকোনো দুরুদ ১১ বার পড়বেন।
৩. সূরা ফাতিহা ১১ বার পরে প্রতিবার ঐ পানিতে ফু দিবেন।
৪. আয়াতুল কুরসি ১১ বার পরে প্রতিবার ঐ পানিতে ফু দিবেন।
৫. চার কুল একাসাথে ১১ বার পরে প্রতিবার অর্থাৎ ১১ বার ফু দিবেন।
৬. আবার যেকোনো দুরুদ ১১ বার পড়ুন। (দরুদ পড়ে ফু দিতে হবেনা)
এবার এই পানি পান করুন, পরিবারের সবাইকেই পান করাতে পারেন। পানি পান করার পরে তিতা/মিস্টি/টক/কষ/বমি বমি অনুভব হতে পরে। নরমাল পানির মতো ছাড়া অন্য কোন রকম অনুভব হলে দ্রত রুকইয়া করুন।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
ঠিকানা
- বটতৈল মধ্যপাড়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ